ঘোড়া সিরিজঃ পর্ব -০৬ঃ ঘোড়ার রোগ: #গ্ল্যান্ডার্স /Glanders বা Farcy
ঘোড়া সিরিজঃ পর্ব -০৬ঃ
ঘোড়ার রোগ:
#গ্ল্যান্ডার্স /Glanders বা Farcy:
#এটি একটি জুনোটিক রোগ তাই আক্রান্ত ঘোড়া থেকে এ রোগ মানুষেও ছড়াতে পারে।
ভেড়া, শুকর, গরু ইত্যাদিতে এরোগ হয় না। কিন্তু ছাগল আক্রান্ত হতে পারে।
বর্তমানে ইরাক, তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তান, মঙ্গোলিয়া, চীন, ব্রাজিল, সংযুক্ত আরব আমিরাত ইত্যাদি জায়গায় এরোগের সন্ধান পাওয়া গেছে।
#যেভাবে ছড়ায়ঃ
আক্রান্ত পশুর নাকের সর্দি, ত্বক ও লসিকাগ্রন্থি নিঃসৃত পদার্থ, লালা,প্রস্রাব ও মলের সাথে এই রোগের জীবাণু নির্গত হয় যা খাদ্য ও পানির সাথে মিশে মুখ দিয়ে, বাতাসের সাথে নাক দিয়ে এবং ত্বকের আঁচড় বা ক্ষত দিয়ে সংবেদনশীল ঘোড়ার দেহে প্রবেশ করে।
ক) জ্বর, কাশি ও নাক দিয়ে সর্দি ঝরে।
খ) লসিকাগ্রন্থি ফুলে ওঠে এবং ব্যথা থাকে।
গ) সেপ্টিসেমিয়া ও ব্রঙ্কোনিউমোনিয়ায় সৃষ্ট অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে আক্রান্ত প্রাণী মারা যায়।
গ) সাবম্যাক্সিলারী লসিকাগ্রন্থি আকারে বড় হয়।
ঘ) নাক দিয়ে বাদামী রংয়ের তেল সদৃশ পদার্থ নিঃসৃত হয়।
ঙ) খাবারে অরুচি দেখা দেয়।
* ন্যাজাল প্রকৃতিঃ
ক) নাকের টারবিনেট ও ন্যাজাল সেপ্টামে নডিউল হয় যা ফেটে ঘা হয় এবং নাক দিয়ে পুঁজ-রক্ত মিশ্রিত পদার্থ নির্গত হয়।
খ) কখনো কখনো নাক বন্ধ হয়ে নাক ডাকা (Snoring) শব্দ সৃষ্টি হয়।
গ) অনেক সময় সমস্ত মুখ ফুলে ওঠে।
ঘ) নাকের মিউকোসাতে তারকা আকৃতির (Stellate Sear) সাদা ক্ষত চিহ্ন পড়ে।
ঙ) কখনো কখনো নাকের সেপ্টামে ছিদ্র সৃষ্টি হয়।
* ত্বকীয় প্রকৃতি
ক) পা এবং শরীরের অন্যান্য জায়গায় অসংখ্য নডিউলস সৃষ্টি হয়।
খ) নডিউলগুলো ফেটে ঘা সৃষ্টি হয় এবং সেখান থেকে হলুদ রংয়ের পদার্থ নিঃসৃত হয়।
গ) ত্বকীয় লিমফেটিক ভেসেল ফুলে যায় এবং শক্ত হয়ে সেখান থেকে পুঁজ নিঃসৃত হয়। এজন্য এরোগ ফার্সি পাইপ (Farcy Pipes) নামেও পরিচিত।
ঘ) যকৃত ও প্লীহায় এ নডিউল তৈরি হয়।
ঙ) ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুহার ৯৫% পর্যন্ত হতে পারে।
* পালমোনারী প্রকৃতি
ক) ফুসফুসে দৃঢ় নডিউল তৈরি হয় যা ধূসর/সাদা বর্ণের।
খ) ফুসফুসের চারদিকে ক্যালসিফাইড হয়।
গ) নিউমোনিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়।
ঘ) মৃদু শ্বাস কষ্ট (Dyspnea) ও প্রচন্ড কাশি হয়।
ঙ) পুরুষ ঘোড়ায় গ্লান্ডেরাস অরকাইটিস (Glanderous Orchitis) হয়।
#রোগ নির্ণয়ঃ
মাঠপর্যায়ে রোগ নির্ণয়
ম্যালিন টেস্ট (Mallein test) : নিম্নোক্ত ভাবে এই পরীক্ষাটি করা যায়। যথা-
১) ইন্ট্রাডার্মো পালপেব্রাল পরীক্ষা (Intradermo-palpebral test)
২) অফথ্যালমিক পরীক্ষা (Ophthalmic test)
৩) সাব কিউটেনিয়াস পরীক্ষা (Sub-cutaneous test):
ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা
ক) CFT
খ)ELISA
গ)PCR
No comments