Header Ads

Header ADS

 ঘোড়া সিরিজ: পর্ব:০৫

ঘোড়ার রোগ:
১। এজোচুরিয়া বা Tying up:
যথারীতি খাওয়া চালিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময় আলস্য ও কাজবিহীন অবস্থায় কাটিয়ে হঠাত কাজে লাগানোর পরে এইরোগ দেখা দেয়। মায়োগ্লোবিনইউরিয়া ও মাসকুলার ডিজেনারেশন এই রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
#রোগের কারণ সমূহ
ক) খাদ্য ও অনুশীলন।
খ) প্রশিক্ষণে হঠাত পরিবর্তন।
গ) বংশগতি (Genetic Factors)
ঘ) থাইরয়েড হরমোনের কার্যক্রম হ্রাস।
ঙ) পূর্ববর্তী রোগের ইতিহাস।
চ) অন্যান্য - ইলেকট্রোলাইটস-এর অসামঞ্জস্যতা।
#যে সব দেশে ঘোড়ার বহুল ব্যবহার রয়েছে সেখানে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে (শনি ও রবিবার) ঘোড়াকে পর্যাপ্ত খাবার দিয়ে বিশ্রামে রাখা হয়। কর্মবিহীন থাকা অবস্থায় বেশি খেয়ে প্রচুর গ্লাইকোজেন ঘোড়ার মাংসপেশীতে জমা হয়। সাপ্তাহিক ছুটির পরদিন (সোমবার) যখন হঠাত করে ওই ঘোড়াকে কাজে লাগানো হয়, তখনই এই জমে থাকা গ্লাইকোজেন রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ল্যাকটিক এসিডে পরিণত হয়। এই অতিরিক্ত ল্যাকটিক এসিড মাংসপেশীর নেক্রোসিস ঘটিয়ে মায়োগ্লোবিন (Myoglobin) বের করে দেয়, যা রক্তে মিশে পরে kidney র মাধ্যমে প্রস্রাবের সাথে বেরিয়ে যায় যা ঘন লাল রঙের হয়। এজন্য একে Black water disease ও বলা হয়। সাধারণত ছুটির পরদিন দেখা দেয় বলে রোগটি Monday Sickness disease নামেও পরিচিত।
* প্রচুর ঘাম হয়।
* চলনভঙ্গিতে আড়ষ্ঠতা থাকে।
* লাম্বার ও গ্লুটিয়াল পেশীতে প্রচন্ড ব্যথা হয়।
* শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পায়।
* পেছনের পা শক্ত হয়ে যায় এবং কাঁপতে থাকে।
* মারাত্মক অবস্থায় ঘোড়া শুয়ে পড়ে এবং আর উঠে দাঁড়াতে পারে না। পেশীর প্রোটিন মায়োগ্লোবিন রক্তস্রোতে চলে যায়। ফলে গাঢ় বাদামী/লাল প্রস্রাব হয়।
* মায়োগ্লোবিনিউরিক নেফ্রোসিস ও ইউরেমিয়ার কারণে আক্রান্ত ঘোড়া মারা যায়।
#রোগ নির্ণয়
* জৈবরাসায়নিক পরীক্ষা
* আক্রান্ত ঘোড়ার সিরাম বর্ণহীন হয়।
* ECG এবং Serum Creatine phosphokinase (SCPK) এর অস্বাভাবিকতা নির্ণয় করে পেশী বিনষ্ট হওয়ার মাত্রা নির্ধারণ করা যায়।
*রেজিঃভেটেরিনারি ডাক্তার দেখান।
* উপসর্গ দেখা দেয়া মাত্রই ঘোড়াকে কাজ থেকে বিরত রাখতে হবে।
*Fluid /ফ্লুইড বা পানি জাতীয় খাবার বেশী বেশী দেওয়া।
* কর্টিকোস্টেরয়েডস জাতীয় ইনজেকশন
* আক্রান্ত স্থানে গরম শেক(warm application)প্রদান করলে কষ্ট লাঘব হয়।
* ঘোড়াকে বিশ্রামের সময় দানাদার খাদ্য কর্ম দিবসের থেকে অর্ধেক পরিমাণে দিতে হবে।
* বিশ্রামের পর ঘোড়াকে প্রথমে অল্প মাত্রার ব্যায়ামের পর ধীরে ধীরে কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.